তদন্ত কমিটির সদস্য প্রশিক্ষণে থাকায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
Published : 07 Jun 2022, 10:34 PM
‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে’ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
এই প্রসূতির ভাষ্য, গত ১৬ এপ্রিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মেয়ের জন্ম হয়। পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হওয়ায় ২২ মে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে পেটের গজ বের করা হয়।
এই ঘটনা তদন্তে গত ৩১ মে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।
কমিটিকে তিন কার্যদিবেসর মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত কমিটির এক সদস্য প্রশিক্ষণে ঢাকায় রয়েছেন। তাই কমিটি সময় চেয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, সার্জারি বিভাগের প্রধান ও কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. নাজিমুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহীন ও গাইনী বিভাগের প্রধান খুরশীদ জাহান।
ওই প্রসূতি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মেয়ে হয়। তার পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসক। বাড়ি ফেরার কয়েক দিন পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অস্ত্রপচারের পর থেকে কোনোভাবেই পেটের ব্যথা কমছিল না। চিকিৎসকদের বারবার অবহিত করা হলেও তাদের এক কথা ঠিক হয়ে যাবে। বাসায় যাওয়ার পর এ ব্যথা আরও তীব্র হয়। এ জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কোনোভাবেই ব্যথা থেকে রেহাই মিলছিল না।
সবশেষে আবার শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ধরা পড়ে পেটে গজ। ২২ মে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচার করে পেটের গজ বের করা হয়।
পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”