এ ছাড়া প্লাবিত হওয়া সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও পানি বাড়ছে। উজানের ঢল আর বৃষ্টি না থামায় এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।
সুরমা নদীর পানি বাড়তে থাকায় তীরবর্তী সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে সোমবার সকাল থেকে। নগরীর শাহজালাল উপশহর, সোবহানীঘাট, কালীঘাট, চাঁদনীঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, কলাপাড়া, মজুমদারপাড়া, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়।
“এ ছাড়া সুরমা নদীর পানি সীমান্তবর্তী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে ১৪৮ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে শুন্য দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারি নদির পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী।
নগরীর কলাপাড়ার বাসিন্দা রশিদ আহমদ বলেন, “হঠাৎ পানি উঠে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে, রাতে কেউ ঘুমায়নি। জরুরি জিনিসপত্র অন্য জায়গায় সরাতে হচ্ছে।”
সিলেট সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, মহানগরী এলাকায় প্রায় এক হাজার ১০০ কিলোমিটার ড্রেনের মধ্যে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশের রয়েছে ৫৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭০-৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। বাকি কাজ শেষ করতে আরও ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের জুন মাসে এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
“চলমান ড্রেনের সংস্কার কাজ ৭০-৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে। শতভাগ কাজ সম্পন্ন হলে আর এ সমস্যা থাকবে না।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ১৮ মে পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। তবে ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে ঢল নামছে। ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বন্যার্ত মানুষের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: