মাদারীপুরে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) ভবনগুলো দুই বছর ধরে খালি পড়ে আছে।
Published : 04 Feb 2022, 06:52 PM
২০১৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এসব ভবনের কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। পরবর্তীতে একটি বালক হোস্টেলও নির্মাণ করা হয়, যা এ বছর শেষ হয়েছে।
এসব ভবনে এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পদচারনায় প্রাণবন্ত থাকার কথা থাকলেও নানা প্রশাসনিক জটিলতায় ভবনগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ম্যাটসটি চালু হলে দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা দেওয়ায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ম্যাটসটি চালু করার জন্য দ্রুত তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ঢাকার মোহম্মদপুর ঠিাকানার বিবিএল এন্ড ঈশান ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি. নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তাবায়ন করে।
তারা একটি একাডেমিক ভবন, দুইটি হোস্টেল, একটি অধ্যক্ষের বাসভবন, দুইটি স্টাফ কোয়ার্টার, একটি গ্যারেজ কাম ড্রাইভার কোয়ার্টার, একটি সাব-স্টেশন ২০১৮ সালের ২০ অগাস্ট শেষ করে।
পরবর্তীতে আবার ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খরচে ‘এভারেস্ট ইন্টারন্যাশনাল’ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর একটি বালক হোস্টেল নির্মাণ করার কাজ শুরু করে, যা চলতি বছর শেষ করে।
কিন্তু নির্মাণের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ ম্যাটসের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
ভবনগুলোতে কোনো কার্যক্রম না থাকায় মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন করিম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজপুরে ম্যাটসের কার্যক্রশ শুরু না করায় ভবনগুলোর ভেতরে মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। এতে এলাকার মানুষজন অস্বিস্ততে পড়ে। তাই দ্রুত ম্যাটস ভবনটি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাই।”
আরেক বাসিন্দা রিফাত হোসেন বলেন, “ম্যাটসটি চালু হলে আমাদের এই এলাকার অনেক ছেলে মেয়ে এখানে পড়াশোনা করে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি চালুর দাবি জানাই।”
মাদারীপুর ‘নিরাপদ চিকিৎসা চাই’-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, “নিরাপদ চিকিৎসা সেবার জন্য দক্ষ মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট খুবই দরকার। তাই কবিরাজপুরের মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলটি দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, “কবিরাজপুরের ম্যাটসটির কার্যক্রম আমরা শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিষয়টি তো আমার একার হাতে নেই। অনেকগুলো বিষয় এখানে জড়িত। ২০২২ সালেই এটি যাতে চালু করা যায় তার চেষ্টা করব।”