কুড়িগ্রামের টানা মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। এতে শীতজনিত রোগের সংখ্যাও বাড়ছে।
Published : 01 Feb 2022, 02:44 PM
সোমবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে রাজারহাট উপজেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জেলায় কখনও মাঝারি কখনও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন থাকবে।”
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে বলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান।
তিনি বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে।”
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর এ মুর্শেদ জানান, সদর হাসপাতাল ছাড়াও জেলার আরও আটটি হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি উপজেলায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
তবে উত্তরের এ জেলায় শীতের প্রকোপ থাকলেও ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে।
এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ বলেন, “চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ থাকলেও দিনে রোদ থাকায় কৃষিতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে বোরো ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আলুও তোলার পর্যায়ে রয়েছে।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, ইতোমধ্যে ৭০ হাজার কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ হাজার সোয়েটার বিতরণ করার পক্রিয়া চলছে।