নোয়াখালীতে ‘ভোটের প্রচারে’ বরিশাল জেলা প্রশাসনের কর্মচারী: আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল জেলা প্রশাসনের কর্মচারী নোয়াখালীর মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলার পর এবার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2022, 11:03 AM
Updated : 13 Jan 2022, 12:13 PM

নোয়াখালী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিন বরিশালের ডিসি জসীম উদ্দীন হায়দার লিপুর ছোট ভাই। লেনিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সহিদ উল্লাহ খানের বিরুদ্ধে। সহিদ নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম।

পিন্টু লিখিত বক্তব্যে বলেন, “সহিদ উল্যাহ খান গত পাঁচ বছরে নোয়াখালী পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই এখন তার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

“ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সোমবার বরিশাল কালেক্টরেট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি চাকরিবিধি ও নির্বাচনী আরচণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিনের পক্ষে প্রচারে অংশ নেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমানসহ চারজন সোমবার রাতে নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারী সমিতির কার্যালয়ে সভা করেন। মাহফুজুর বরিশাল কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি।

সভার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিনের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নৌকাকে হারানোর জন্য কালো টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করছে একটি পক্ষ। কোনো ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। নৌকার প্রার্থীর সততা, নিষ্ঠার কারণে কেবল আওয়ামীলী নয়; দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাকে আবারও বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করবে।”

তবে এখানে কী ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি আওয়ামী লীগ নেতারা।

তবে উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমান ভোটের প্রচারে নামার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি তাদের সমিতির মিটিং আছে। সে বিষয়ে নোয়াখালীতে বসেছিলেন তারা।

“এখানে যেহেতু নির্বাচন চলছে, জাস্ট জানতে চাওয়া কী হয়েছে। তখন একপর্যায়ে যেটা বলেছি–কেউ কেউ হয়তো অন্যভাবে নিয়েছে।”

এ ঘটনায় নোয়াখালীর ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভায় মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আরও রয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছেরসহ সাতজন।