ইউপি নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে,ভাঙচুর করা হয়েছে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার ক্যাম্প।
Published : 29 Oct 2021, 10:30 AM
বৃহস্পতিবার রাতে হাটখালী ইউনিয়নের বারভাগিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দুজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রউফের লোকজন এই হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে।
অন্যদিকে আব্দুর রউফ বলছেন, গ্রামের দুটি ছেলে-মেয়ের ‘প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে’ ওই সংঘর্ষ হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ খান সেটাকে নির্বাচনী সহিংসতা হিসেবে ‘দেখানোর চেষ্টা’ করছেন।
আর সুজানগর থানার পুলিশ সংঘাতের ঘটনাকে বর্ণনা করেছে ফিরোজ খানের অনুসারীদের ‘দুই গ্রুপের ঝামেলা’ হিসেবে।
সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ১১ নভেম্বর। এর মধ্যে হাটখালী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টিকেট পেয়েছেন আব্দুর রউফ।
অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কৃষক লীগের ফিরোজ আহমেদ খান আনারস প্রতীকে এবং সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনছার আলী ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
ফিরোজ খান বলেন, “গত ২৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন থেকেই দলীয় প্রার্থীর লোকজন মারমুখী আচরণ শুরু করে। তারই জের ধরে কাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ইউনিয়ন এলাকার বারভাগিয়া গ্রামে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে হামলা ভাঙচুর চালায়।
“পরে আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা নুরুউদ্দিনপুর বাজারে আমার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে চলে যায়।”
আহতদের মধ্যে যাদের গায়ে ছররা গুলি লেগেছে, তারা হলেন: হাটখালী ইউনিয়নের বারভাগিয়া গ্রামের আজাহার আলী মোল্লা (৬৫), আজগর আলী মোল্লা (৬০), খাইরুল ইসলাম (৪০), রেহেনা খাতুন (৩৫) ও জুবায়ের হোসেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রউফ বলেন, “আমার জনপ্রিয়তা ও নিশ্চিত বিজয় দেখে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। এটি মূলত বারভাগিয়া গ্রামের বিশ্বাস ও মোল্লা গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়ের প্রেম নিয়ে ঝামেলা। সেটাকে নির্বাচনী সহিংসতা হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা করে নির্বচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী।”
সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমানও একে নির্বাচনী সহিংসতা বলছেন না।
“স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ খানের দুই গ্রুপের ঝামেলা হয়েছে।”
বর্তমানে পরিস্থিতি ‘শান্ত রয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
কারও অভিযোগ পেলে রাতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।