ফেনীতে মহাসড়কে গাড়ি থেকে ২০টি স্বর্ণবার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
Published : 11 Aug 2021, 06:00 PM
বুধবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খান এ মামলার অপর পাঁচ আসামিকেও রিমান্ডে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া এবং এএসআই মাসুদ রানা।
ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিনালী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার পর ডাকাতি মামলার এ আসামিদের হেলমেট পরিয়ে মাইক্রোবাসে করে ফেনী মডেল থানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে আনা হয়।
এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খানের আদালতে আসামিদের আইনজীবীরা আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে।
অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূইয়াকে চারদিন এবং অপর আসামিদেরকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আসামিদের আদালত থেকে রিমান্ডের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার রাতে তাদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয় থেকে ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী জানান, গত রোববার চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন।
পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তার গাড়ির গতিরোধ করে।
গাড়ি তল্লাশির এক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ এ পুলিশ কর্মকর্তারা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশের কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেন।
ওই ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ ফেনী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযোগকারী চার পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেন।
এ চারজন জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা অপর দুইজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ফেনী মডেল থানায় এ ঘটনায় ডাকাতি মামলা করেন গোপাল কান্তি দাশ। আসামি পুলিশ কর্মকর্তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই থানায় হন্তান্তর করা হয়।
এদিকে ছিনতাই হওয়ায় বাকি পাঁচটি স্বর্ণবার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। স্বর্ণবারগুলো অবৈধতারও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।