জেলার সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান সদরপুর উপজেলার চরচাঁদপুর গ্রামের মীর আব্দুল জলিলের ছেলে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। এ ঘটনায় মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন দেয়৷
২০১৭ সালের ৬ অগাস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেবের বেঞ্চ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেয়৷ ইমরান যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের একজন।
ওসি সুব্রত বলেন, ইমরান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। রাতে গোপন খবরের ভিত্তিতে চরবিষ্ণুপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তর করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার খবর ও ছবি সারা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের কর্মী হওয়ায় সরকারও বিরোধীদলের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন