সোমবার সকালে তোফাজ্জল হোসেন সাত লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন বলে আবুল কালাম জানান।
কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে তোফাজ্জল তাকে ডেকে নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত রেখে সাত লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।
এর আগে আরও সাত লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানান কালাম শেখ।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “কালামের ছেলের কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য ১৪ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। তবে কারো নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেইনি। আগে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেছিলাম। বাকি সাত লাখ টাকা আজ পরিশোধ করেছি।”
আবুল কালাম শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত বছর ছেলে শাকিলের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে ১২ লাখ ও সুদে ২ লাখ টাকা এনে মোট ১৪ লাখ টাকা দেন তোফাজ্জল হোসেনকে।
তোফাজ্জল হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদকে দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন বলে কালামের ভাষ্য।
কিন্তু শাকিল পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও চাকরি হয়নি।
হাসান মাহমুদ ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর ছেলে।
ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আব্দুল মতিন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদ ও তার এক অনুসারীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার দায় তারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদের প্রতিবাদ
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে থাকা ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদ প্রতিবাদ করেছেন।
সোমবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো অডিও রেকর্ডটি তার নয় বলে দাবি করেন এবং এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান হাসান মাহমুদ।