বিকল্প পেশা চান সুন্দরবনের বনজীবীরা

বাঘের ভয়, সাপের ছোবল, কুমিরের আক্রমণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আয় কমে যাওয়া—এমন নানা কারণে সুন্দরবনের বনজীবীরা এখন অন্য কাজ চান।

শুভ্র শচীন খুলনা প্রতিনিধি ও অলীপ ঘটক, বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2020, 06:45 AM
Updated : 29 August 2020, 06:52 AM

সরকার এজন্য প্রকল্প হাতে নিলেও তা সামান্য এবং ধীরগতির বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খুলনা প্রতিনিধি শুভ্র শচীন ও বাগেরহাট প্রতিনিধি অলীপ ঘটক।

পশ্চিম সুন্দরবন সংলগ্ন নলিয়ান বাজার এলাকার ষাটোর্ধ্ব রসূল মিয়া বলেন, “ছোট ভাই কালাম শিকারিকে বাঘে নিয়েছে সাত বছর আগে। ছোট ভাইয়ের পরিবারকে সেই থেকে আমাকেই দেখতে হয়।

“আমি নিজেও বাঘের সামনে পড়েছি একাধিকবার। ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে দুটি দাঁত হারিয়েছি। বিকল্প কাজ নেই বলে এটাই করতে হচ্ছে।”

নলিয়ান বাজারটি খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত।

রসূল মিয়া ওই এলাকায় রসুল শিকারি বলে পরিচিত।

তিনি বলেন, জমিজমা নেই। নলিয়ান বাজারের লঞ্জঘাটের পাশে বেড়িবাঁধের ওপর ঘর তুলে থাকেন। নদীভাঙন আর আইলা-আম্পানে কয়েক দফায় ঘর ভেঙেছে তার।

ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে থেকে এই কাজ শুরু করেন বলে তিনি জানান।

রসুল বলেন, বন বিভাগ থেকে পাস মিললে নৌকায় তিনজনের দলে সাত দিনের জন্য মাছ ধরতে যান বনে। এ সময় পাঁচ-ছয় হাজার টাকার মাছ পাওয়া যায়। এতে সংসার চলে না। সুন্দরবনে সারা বছর মাছ ধরার সুযোগ পেলে জীবীকা চালানো সহজ হত।

পশ্চিম সুন্দরবনের কালাবগী এলাকার বাসিন্দা খুলনার দাকোপ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বাসুদেব রায় এই পেশাজীবীদের জীবন-জীবিকার প্রত্যক্ষদর্শী।

তিনি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বনে গিয়েও বনজীবীদের সারা বছর সংসার চালিয়ে নেওয়ার মত অবস্থা হচ্ছে না। বনের মাছ কমে গেছে, আগের মতো মধু পাওয়া যাচ্ছে না, গোলপাতা-গরান কাটা বন্ধ। এসব কারণে অধিকাংশ বনজীবীর বনে যেতে আগ্রহ দিন দিন কমছে।

নলিয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জেলে-বাওয়ালীদের ছোট-বড় নৌকা, মাছ ধরার জাল, ড্রাম, দড়ি ইত্যাদি। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। বনে মাছ-কাঁকড়া, চিংড়ির পোনা ধরে, মধু আহরণ করে, গোলপাতা কাটাসহ বিভিন্ন কাজে যুগ যুগ ধরে জীবিকা চলছে তাদের।

ওই এলকার সাংবাদিক আবুল বাশার বলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ শিকার, বনের মধু ও গোলপাতা আহরণ করে এসব মানুষের জীবিকায়ন হয়ে থাকে।

বাশার বলেন, সুন্দরবনে মাত্র চার-পাঁচ মাস কাজ করতে পারেন বনজীবীরা। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ছোটবেলা থেকে বনের বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হয়ে ওঠে এ এলাকার শিশুরা। লেখাপড়া শেখার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার চেয়ে বনে গিয়ে বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরাটা তাদের যেন নিয়তি।

“জলবায়ু পরিবর্তনে সুন্দরবনের সম্পদ আহরণে প্রভাব পড়েছে। আগে একবার বনে গেলে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত, এখন সারা বছরেও তা মেলে না। অন্যান্য সম্পদও কমে গেছে। তাছাড়া বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনৈতিক সুবিধা আদায় এবং হয়রানি তো রয়েছেই।”

বাজারের কাছেই বাড়ি ২০ বছর বয়সী আলামিন ফকিরের।

তিনি বলেন, তার বাবা জামাল ফকির খুলনায় রিকশা চালান।

“আমি স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে মধু আহরণের পাস নিছিলাম এক মাস চার দিনের জন্য। দলে ছিলাম ১০ জন। প্রত্যেকে প্রায় চার মণ করে মধু পেয়েছি। তবে পাস নিতে এবং মধু আহরণকালে বনে যেসব ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে, তা এই মধুর দামের তূলনায় সামান্য।”

আলামিন বলেন, আগামী মধু আহারণ মৌসুম পর্যন্ত আর তেমন কোনো কাজ নেই তার।

জোয়ারে ভাসবে খালপাড়ের এই বন-থাকবে মাছের বিচরণ, ওই সব মাছ আটকাতে চরগড়া নামের এই জাল পেতেছেন সুন্দরবনের জেলেরা, ছবিটি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকার। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

“শুধু আমি না। বছরের অধিকাংশ সময়ই বেকার সময় পার করতে হয় বনজীবীদের। বনের সম্পদ আহরণে নানামূখী প্রতিবন্ধকতায় বনজীবীরা মালিক-মহাজনের কাছে বিপুল পরিমাণ দেনা হচ্ছেন। দেনার পরিমাণ ৭০-৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেনার ভার বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।”

পশ্চিম সুন্দরবনের দাকোপ উপজেলার কালাবগী এলাকার বাসিন্দা সালাম মোল্লা নামে স্থানীয় একজন মহাজন বলেন, তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে সুন্দরবনের সম্পদ আহরণের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছরই বৈধ পাস নিয়ে সুন্দরবনে যান। বর্তমানে এ ব্যবসায় সুবিধা হচ্ছে না।

নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সুন্দরবনে যেতে বনজীবীদের এখন আগ্রহ কম। তারা এখন বিকল্প কাজ চান। জলবায়ু পরিবর্তনে সুন্দরবনের সম্পদ আহরণে প্রভাব পড়েছে। আগে সুন্দরবনে যে পরিমাণ মাছ-কাঁকড়া পাওয়া যেত, এখন তা মিলছে না। অন্যান্য সম্পদও কমে গেছে। তাছাড়া পাস নিতে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।

তবে হয়রানি ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায় অভাবী মানুষদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সুন্দরবন। পাস নিয়ে মাছ, মধুসহ বিভিন্ন সম্পদ আহরণের সুযোগ তাদের আছে। তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, বনে আসা বনজীবীদের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। বিশেষ করে বাওয়ালিদের সংখ্যা আগের চেয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

“করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের প্রবেশাধিকারও সীমিত করা হয়েছে।”

তবে বন এর সুফল পাচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত এবং বনের ভেতরে নদ-নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল কম থাকায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে পরিবর্তন এসেছে। বনে এখন সুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। বন্যপ্রাণীর দল নতুন পরিবেশে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান খুলনার সুন্দরবন অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির বলেন, আগের চেয়ে সুন্দরবনে বনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে দুটি কারণে। প্রথমত পাস পেতে ঝক্কি-ঝামেলা এবং বন বিভাগের কড়াকড়ি আরোপ। দ্বিতীয়ত, সুন্দরবনের সম্পদ কমে যাওয়া। এ কারণে দিন দিন সুন্দরবনের সম্পদ আহরণে বনজীবীদের আগ্রহ কমছে।

কাদির বলেন, তাছাড়া একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবন তাদের রক্ষা করায় এক প্রকার সচেতনতা তৈরি হয়েছে। সংরক্ষিত এই বনের কোনো সম্পদেরই ক্ষতি চান না তারা।

সরকারি উদ্যোগ

সরকার সুন্দরবনের বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কিছু বনজীব অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি পালন, মাছ চাষ, সবজি চাষসহ বিভিন্ন পেশায় তাদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ আবু ছায়েদ বলেন, তিনি বনের নদী-খালে মাছ শিকার করে জীবিকা চালাতেন।

“আমার বাড়ির পাশে যে এলাকায় মাছ শিকার করতাম সে এলাকাটি ডলফিনের অভয়ারণ্য। ওই এলাকায় সরকার মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। বনবিভাগ আমাকে ৪০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সাহায্য করায় আমি মাছ শিকার ছেড়ে এখন একটি ছোট মুদি দোকান দিয়েছি। আমি এখন আপাতত মাছ শিকার বন্ধ রেখছি।”

ওই এলাকার ফজলু হাওলাদারও (৫৫) এই প্রকল্পের আওতায় সহায়তা পেয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “সরকার আমাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি সেই টাকার সঙ্গে আরও কিছু লাগিয়ে নসিমন কিনে গ্রামের রাস্তায় চালাই।”

মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চাঁদপাই রেঞ্জের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. অলিয়ার রহমান বলেন, ২০১০ সালে এই প্রকল্প চালুর পর থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ নানা পেশাজীবীর তালিকা তৈরি করে। সেই তালিকা ধরে অসংখ্য সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে।

“তাদের বোঝানো হয় যে, সুন্দরবন আমাদের সুরক্ষা দেয়। সুন্দরবন না থাকলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আমাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত হবে না বলে অঙ্গীকার করে। সচেতনতামূলক সভা ছাড়াও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গবাদিপশু, হাঁসমুরগি পালন, মাছ চাষ, সবজি চাষ, সেলাই মেশিন, ব্যাটারি ও ইঞ্জিন চালিত যান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে তা বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।”

বিশ্বের সবচেয়ে শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্যে একজোড়া মদনটাক। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন লাগোয়া চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রাম। চাঁদপাই রেঞ্জের সুন্দরবনের শেলা নদীর চাঁদপাই, দুধমুখী ও ঢাংমারি বড় এলাকা নিয়ে একটি ডলফিনের অভয়ারণ্য। ডলফিনের অভয়ারণ্য এলাকা ঘোষণার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাস নিয়ে হাজার হাজার জেলে এখানে জাল দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। সরকার এই এলাকাটি সংরক্ষিত ঘোষণা করার পর থেকে জেলেরা এই নদীতে আর মাছ শিকার করে না। চিলা ইউনিয়নেই এই জেলের সংখ্যা রয়েছে শ পাঁচেক। ছয় মাস আগে তাদের তালিকা করে প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, সুন্দবনের ওপর চাপ কমাতে সুন্দরবনস এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড লাইভহুডস সিকিউরিটি নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবন সংলগ্ন পাঁচ জেলা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও পিরোজপুরের ১৭টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উপজেলাগুলোর অন্তত ৫০ হাজার পরিবার বনের ওপর নির্ভরশীল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করা হচ্ছে।

“২০১৪ সালে বনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের বিকল্প পেশায় ফেরাতে সরকারের কাছে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। সেটি এখনও পাস না হওয়ায় প্রকল্প থমকে আছে। বরাদ্দ পেলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হবে। সুন্দরবনও আরও সুরক্ষিত হবে।”

সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলা নিয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগ।

পশ্চিম বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, গত মার্চ থেকে করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া সরকার সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল বনজীবী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই থেকে সুন্দরবনে সুনশান নীরবতা চলছে। বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ বেড়েছে।

সরকার সুন্দরবনের ওপর চাপ কমাতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ফররুখ হাসান জুয়েল।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বাগেরহাট শাখার সদস্যসচিব মো. নূর আলম শেখ বলেন, প্রায় এক দশক আগে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল বনজীবীদের বিকল্প পেশায় ফেরাতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। গত এক দশকে যা এগিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সরকার সুন্দরবনের সুরক্ষা দিতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট নয়।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণাললের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই সুন্দরবনে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”