রোবাবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপি'র উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ জানান, চয়ন নাইডুকে ৬ অগাস্ট ঘটনার দিনই বরখাস্ত করা হয়।
ফয়সল মাহমুদ বলেন, চয়নের মোটরসাইকেলে ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ পাওয়া গেছে। তিনি তার দায়িত্বের আওতাধীন এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় অবস্থান করছিলেন। এছাড়া তার মোটরসাইকেলে এভাবে একটি বোমাসদৃশ বস্তু রেখে দেওয়া হলেও বিষয়টি তিনি বুঝতে পারলেন না এসব কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়।
“মোটরসাইকেলে গ্রাইন্ডিং মেশিন রাখার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার কোনো দায়িত্ব অবহেলা আছে কিনা তদন্তে উঠে আসলে তিনি বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করবেন।”
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, তদন্ত চলছে। আশা করছি দ্রুতই তদন্ত শেষ হবে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর চৌহাট্রায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলে বোমা-সদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। এরপর এটি উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি। শনাক্তের ২২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ধ্বংসকরণ দল এটি উদ্ধার করে। এরপর প্রেস ব্রিফিং এ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।