রাজশাহী শহরের সাগরপাড়া এলাকার তাপস কুমার সাহা নামে এক আইনজীবীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় বুধবার রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিটি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
রুহুল কুদ্দুস বলেন, “জাহিদুর রহমান ফেইসবুকে নাসিমকে নিয়ে আজেবাজে কথা লিখে কটুক্তি করেছেন এই অভিযোগে মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে আইনজীবী তাপস কুমার সাহা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলা দায়ের করেন।”
জাহিদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তারের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান জানতেন না।
প্রক্টর বলেন, “রাত দেড়টায় আমার ফোনে সম্ভবত মতিহার থানার পুলিশ ফোন করেছিল। আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ফোনটি দেখেছি এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে পেরেছি।”
নাসিম রাজধানী ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান। রোববার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
নাসিম অসুস্থ হওয়ার পর তাকে নিয়ে ১ ও ২ জুন কাজী জাহিদুর রহমান ফেইসবুকে লেখেন। কিন্তু সে সময় ঘটনাটা পেছনেই থেকে যায়। শনিবার নাসিমের মৃত্যুর পর বিরূপ মন্তব্য করে সেদিনই গ্রেপ্তার হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরামাজ মুনিরা। এরপর সোমবার কাজী জাহিদুর রহমানের ওই লেখা সামনে এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি জানায়।
কাজী জাহিদুর নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। বুধবার তাকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেছে নড়াইল আওয়ামী লীগ।