‘লকডাউন কার্যকরে’ নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর, ক্ষুব্ধ চালকরা

নোয়াখালীত সদরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাংচুর করেছে একদল লোক, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ‘নিজ দায়িত্বে লকডাউন কার্যকর করছিল’ বলে পুলিশ বলছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2020, 05:41 PM
Updated : 10 June 2020, 05:41 PM

জেলা সদরের কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় বুধবার এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান।

এই ঘটনার পতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একঘণ্টা অবস্থান করে প্রতিবাদ জানান। পরে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তারা ফিরে যান।

জেলা অ্যাম্বুলেন্সে চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগী ছাড়পত্র পাওয়ার পর লক্ষ্মীপুরের রামগতি যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বওলেন্সে করে।

“জেলা সদরের কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় ৮-১০ জন তরুণ লাঠিসোটা নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. সুমন ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর স্বজনদেরকে মারধরও করে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সকাল ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে একঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা ফিরে যান।

জেলা অ্যাম্বুলেন্সে চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম আরও বলেন, হামলাকারীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা অবস্থান তুলে নিয়ে ফিরে গেছেন।

সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের প্রতিবাদে চালকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে খবর পেয়ে তিনি সেখানে তাদের সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়কে লকডাউন কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কিছু যুবক কাজ করছে। তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনার পর তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’ উঠিয়ে নেওয়ার পর করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কায় গত সোমবার [৮ জুন] নোয়াখালীর দুই উপজেলা সদর ও বেগমগঞ্জ ফের অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, সকাল থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র‌্যার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, লকডাউন অমান্য করে সড়কে বের হওয়ায় বেশকিছু গাড়ি আটক করেছে পুলিশ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরও ৩২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মারা গেছে ৩০ জন ও আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১০১ জন।