‘পরিস্থিতি ভয়াবহ’: নোয়াখালীর দুই উপজেলা ফের অবরুদ্ধ

সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’ উঠিয়ে নেওয়ার পর করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কায় নোয়াখালীর দুই উপজেলাকে ফের অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2020, 11:53 AM
Updated : 8 June 2020, 11:56 AM

এ জেলায় হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ ‘লকডাউন’ঘোষণা করা হয়।

এদিন পর্যন্ত এ জেলায় এক হাজার নয় জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; যার মধ্যে ২৯ জন মারা গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে এ গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৯ জুন ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর করা হবে।

অবরুদ্ধের এ ১৫ দিন এ দুই উপজেলা থেকে কোনো মানুষ অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবে না। অভ্যন্তরীণ সব রকম যানবাহন বন্ধ থাকবে। তবে খাদ্য, ডাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী যানবহন, চিকিৎসক, পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের যানবাহন চলবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া মুদি দোকান রবি ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুইদিন এবং কাঁচাবাজার রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে তিনদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকাবে। কাঁচাবাজারের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

ওষুধের দোকান কোন এলাকায় কয়দিন করে খোলা থাকবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ডিসির সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রশাসক প্রশাসক তন্ময় দাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, মামুনুর রশিদ কিরণসহ পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতারা।

এছাড়া পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমানসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যবসায়ী নেতারা ও সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন এ সভায়।