রোববার বিকালে ভারতের কলকাতা থেকে ৪১ বগির মালবাহী ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল রেলস্টেশনের ইয়ার্ড মাস্টার ইসাহক আলী।
"ট্রেনের ৪১টি বগিতে দুই হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন ফ্লাই অ্যাশ (কয়লা পোড়ানো ছাই) রয়েছে।"
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, “আমদানিকৃত এ পণ্যর চালানের
আমদানিকারক বাংলাদেশের 'রিয়ালিস ট্রেডার্স' এবং রপ্তানিকারক ভারতের কলকাতার 'ওরিয়েন্টাল ইন্টারন্যাশনাল।'
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট 'সাইফুল ইন্টারন্যাশন্যাল' চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে।
ভারতের কলকাতা থেকে আসা পণ্যবোঝাই মালবাহী ট্রেনটি বেনাপোলে পৌঁছালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই ট্রেন চালকদের কাছ থেকে এ চালানের ইনভয়েজ বুঝে নেওয়া হয়। পরে ইঞ্জিনটি নিয়ে চালক বন্দর ছেড়ে ভারতে ফিরে যায় বলেন সাইদুর রহমান।
বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বগিগুলো নিয়ে যায় বাংলাদেশের চালক বলে জানান তিনি।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীরা একমত হওয়ার ৫০ দিন পর ট্রেনে আসল এই চালান নিয়ে।
এপথে পেঁয়াজ, আদা ও কাঁচামরিচ আসার সম্ভাবনাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইয়ার্ড মাস্টার ইসাহক আলী বলেন, “করোনার সময়ে ভারত থেকে ট্রেনে পণ্য আসার সময় বন্দর কাস্টম ও মেডিকেল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ২৫ মার্চ থেকে রেলপথে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এতে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারেও আটকা পড়ে আছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, ফ্লাই অ্যাশ, তুলা, পাথর, জিপসাম, গমসহ বিভিন্ন পণ্য বলে জানান বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান।
এ অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল ভারত থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে দুই ট্রাক পণ্য আসে।