এই যুবককে রোবাবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাজেক থেকে চট্টগ্রামে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন।
জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে বাড়ি আহত এই যতীন ত্রিপুরার বাড়ি।
ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন বলেন, “আমরা চাই এভাবেই আমাদের বিপদে আপদে আমাদের পাশে থাকুক দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
“একজন সাধারণ জুমিয়া চাষির চিকিৎসার জন্য তারা আজকে যে কাজটি করল, আমরা সাজেকবাসী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।”
গত ২৯ এপ্রিল সাজেক ইউনিয়নের জপুই এলাকায় জুম চাষের সময় উঁচু পাহাড় থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে যান যতীন ত্রিপুরা। নিচে থাকা বাঁশের আঘাতে মারাত্মক জখম হয় যতীনের। জায়গাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা সুবিধা নেই তেমন। তাই আহত যতীনকে কাছের জপুই বিওপিতে আনা হলে বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর রাঙামাটির এক কর্মকর্তা জানান, উঁচু থেকে বাঁশের ওপর পড়ে মারাত্মক জখম হওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়া প্রয়োজন বলে বিজিবি খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নকে জানায়। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ২৪ পদাতিক ডিভিশনকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য আনার ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অনুরোধ করে।
মানবিক বিবেচনায় নিয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান যতীনকে দ্রুত হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে আনার নির্দেশ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটির এক হেলিকপ্টারে করে যতীন ত্রিপুরাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতীতের ঘটনার নজির টেনে তিনি বলেন, “ভালুকে কামড়ানো কিশোরকেও চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল।”
এর আগে সাজেকে হামে কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর পর সেখানে বেশ কয়জন আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার পাঠিয়ে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম নিয়ে যায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি। চিকিৎসা শেষে আবার একইভাবে ফিরিয়েও দেয় তারা।