খাগড়াছড়ি সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রথিচন্দ্র কার্বারিপাড়াসহ পাশের জেরকপাড়া ও হেমকপাড়ার শিশুদের মাঝেও এ রোগ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
সম্প্রতি বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলাতেও ‘হামে আক্রান্ত হয়ে’ শিশুরা মারা যায়। সেখানেও বেশ কয়েকজন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মেডিকেল টিমের চিকিৎসকরা রথিচন্দ্র পাড়ার বটতলায় বসে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা রোগীদের ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা দেন। এ সময় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।
এ মেডিকেল টিমের প্রধান দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তনয় তালুকদার বলেন, “শিশুদের দেখে মনে হয়েছে, তারা ভাইরাল জ্বর ও ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
রথিচন্দ্র কার্বারিপাড়ার এক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধণিময় ত্রিপুরা বলেন, “এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিশুদের মধ্যে জ্বর দেখা দিয়েছে। তাদের শরীরে ঘামাচির মত দানা উঠেছে।”
গত শনিবার তার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) মারা যায়। মেয়েটির বাবা জানান, “এলাকার আরও ১৮ জনের মত শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ বছরের নিচে।”