সোমবার দুপুরে লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের লাইল্যাপাড়া থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চিকিৎক ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে একটি দল তাদের উদ্ধার করে ট্রাক্টরে করে নিয়ে আসে।
নিহত শিমু দুতিয়া ম্রো লাইল্যাপাড়ার বাসিন্দা ছিল। অন্য আক্রান্ত শিশুরা আটটি ম্রো নৃগোষ্ঠীর পরিবারে সন্তান।
আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে সেন্টারে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা বলেন, আক্রান্তদের হামের গুটি উঠেছে। কেউ কেউ মারাত্ম অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
“আশপাশে যাতে রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে।”
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া সব রোগীই শিশু। এর মধ্যে ২০ বছরে বয়সী দুইজন তরুণ-তরুণীও রয়েছে।
এরা সবার হাম হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হাপাতালে ভর্তি হওয়া তিনটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
“কয়েক দিন আগে এক কাঠ ব্যবসায়ী সেখানে গিয়ে দেখতে পান ম্রো সম্প্রদায়ের আটটি পরিবারে প্রায় সবাই অসুস্থ। এর মধ্যে এক শিশু মারা গেছে। ওখানে আশপাশে কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও নাই।”
ওখানকার পাড়া কারবারী লুংতু ম্রো জানান, পাড়ায় ১৮টি ম্রো পরিবার রয়েছে। কয়েক দিন আগে এসব পরিবারের শিশুসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোথায় গিয়ে কী করতে হবে তা তাদের জানা ছিল না।
পাড়ায় কোনদিন স্বাস্থ্যকর্মীও আসেনি। কোন সময় শিশুদের টিকাও দেওয়া হয়নি বলে জানান এই পাড়াপ্রধান।