এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার দিনই পুলিশ কনস্টেবলকে রেজাউল করিমকে ‘সাসপেন্ড’ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
এছাড়া তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওহেদুজ্জামান ও রিজার্ভ পুলিশের পরিদর্শক আজাদ রহমান।
জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জানান, কমিটিকে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত করে প্রতিবেদন জিমা দিতে বলা হয়েছে।
এ কমিটির বাকি সদস্যা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শরাফত ইসলাম ও আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার ও ভিডিপি) জেলা কমান্ড্যেন্ট মির্জা শিফাত-ই খোদা।
এদিকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার ও ভিডিপি) জেলা কমান্ড্যেন্ট মির্জা শিফাত ই খোদা জানান, জেলা আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের আনসরা ও ভিডিপির সহকারী কমান্ডেন্ট রোমানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা আনসার ও ভিডিপির সার্কেল মো. জসিম উদ্দিন ও চৌহালী উপজেলা কর্মকর্তা সোহেল রানা।
রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের রায়পুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার ও ভিডিপি) জেলা কার্যালয়ের সামনে রেশন নিতে আসা আনসার সদস্যরা দাঁড়িয়েছিলেন।
এ সময় পুলিশের একটি পিকআপভ্যান থেকে শটগানের গুলি লেগে দুই আনসার সদস্য আহত হলে তাদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
পিকআপে থাকা কনস্টেবল রেজাউল করিম সেই সময় জানিয়েছিলেন, সদর থানার ওসিকে পুলিশ লাইন আনাতে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ির পেছনে ছিলেন।
এ সময় পিকআপে থাকা শটগানের থেকে অসর্তকতায় গুলি বেরিয়ে পিকআপের বডি ছেদ করে তারপর আনসার সদসদ্যের শরীরে লাগে।