রোববার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
আদালতের জিআরও আবুল কাশেম জানান, দুলা মিয়া হত্যার ঘটনায় সাদেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
আবুল কাশেম বলেন, এই মামলার সাত জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মাঝে ৪ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। তারা সেখানে সাদেক এর নাম উল্লেখ করেছেন।
“এছাড়াও টেলিফোন রেকর্ড থেকে পাওয়া গেছে এই চার আসামির সেঙ্গে সাদেক ৩২ বার টেলিফোনে কথা বলেছেন।”
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। সাদেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবদ করলে দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন করে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে এই হত্যায় গ্রেপ্তার জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়েছে। রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করলেও এখনও শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
গ্রেপ্তার আসামিদের ভাষ্যে পুলিশ জানিয়েছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর সাদেক মিয়া লোকজন দিয়ে গত ১৭ জুন চুনারুঘাটের পাট্টাশরিফ গ্রাম থেকে তার চাচা দুলা মিয়াকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা নিয়ে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
বিজিবি সদস্য সাদেকের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল র্যাবে।