নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
এজাহারের আসামিরা হলেন আমিনুল ইসলাম (৪৮), মো. সোহাগ (২৫), বিদ্যুৎ (৩২), মো. মাহমুদ (৩২), আজিজুল ইসলাম কাইল্লা (৩২) ও মো. পায়েল (৩২)।
রোববার রাতে শহরের নিশিন্দারায় হাউজিং এস্টেট এলাকার উপশহর কাঁচাবাজারে মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারীরা।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী মামলায় তদন্তে অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, “খুন হওয়ার জায়গা থেকে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও এখন পুলিশের হাতে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। এরপরেও এই হত্যার বিষয়ে পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”
শাহীন হত্যার প্রতিবাদে বগুড়া জেলা বিএনপি ৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে শহরে শোকর্যালি শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা শাহীনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সহ-সভাপতি আরী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা যুবদলের সভাপতি সিফার আল বখতিয়ার প্রমুখ।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় বগুড়া চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সমাবেশ হয়।
সমাবেশ থেকে শাহীন হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল, সহ-সভাপতি কামরুল মোর্শেদ আপেল, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার প্রমুখ।
বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বার সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে কোনো আইনজীবীই খুনিদের আইনি সহায়তা দেবে না।
নিহত শাহীনের ভাই হাজী ফেরদৌস বলেন, হত্যার ঘটনার পর লাশ দেখতে আলীমুদ্দিন পরদিন বিকাল পর্যন্ত না আসায় সন্দেহের কারণ আমাদের। মামলায় তাকে আসামি না করা হলেও সাক্ষী করা হয়েছে।