সোমবার নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ।
“আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে বিকালে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।”
দুপক্ষের করা দুটি মামলার বাদী ও আসামিপক্ষের মধ্যে সমঝোতার কথা আদালতে জানানোর পর তাদের জামিন হয় বলে হাবিবুর জানান।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিতাইগঞ্জ নলুয়াপাড়ার দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদের সভাপতি।
কবির হোসেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
দুই মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত রোববার বাদ এশা মসজিদে সভা বসে। সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে কাউন্সিলর কবির হোসেন সমর্থক টিপুসহ বেশ কয়েকজন বর্তমান কমিটির কাছে হিসাব চান। এতে কামরুল হাসান মুন্না ও তার পক্ষের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে টিপুসহ অন্যদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেন বলে একপক্ষের মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনার জের ধরে রাত ১টার দিকে কাউন্সিলর কবির হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসন মুন্না সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ওই এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় কাউন্সিলর কবির হোসেন বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে কামরুল হাসান মুন্না বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ভাংচুরের অভিযোগে কাউন্সিলর কবির হোসেনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর কবির হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ২২ জনকে আটক করে।