নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, রোববার গভীর রাতে নগরীর নিতাইগঞ্জ নলুয়াপাড়া এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেন এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্নার অনুসারীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ বাঁধে।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের কমিটি নিয়ে কবীর ও কামরুলের মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। রোববার সন্ধ্যায় কবীরের ভাগ্নে টিপু বর্তমান কমিটির কাছে টাকার হিসাব চাইলে তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেন মুন্নার অনুসারীরা।
এর জেরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কবির ও মুন্নার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দুই পক্ষের লোকজন অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়।
দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ওসি কামরুল ইসলাম জানান।
রাতের এই সংঘর্ষে কবির, নেয়ামত উল্লাহ, সুজন, সত্যজিৎ ও দুর্জয়সহ অন্তত দশজন আহত হন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।