রাবির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে শুরু করা অনশন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টা পর স্থগিত করেছেন অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2018, 02:07 PM
Updated : 4 Dec 2018, 02:07 PM

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বসে তারা অনশন ভাঙেন।

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে সোমবার দুপুরে অনশন নামে এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অনশন ভাঙার বিষয়ে এপিইই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কমল ঘোষ বলেন, “আমাদের বিভাগের সব শিক্ষকের অনুরোধে এবং আশ্বাসে আমরা অনশন ভেঙেছি।”

বুধবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি ফয়সালা হবে বলে শিক্ষকরা তাদের বলেছেন বলে জানান কমল।

দাবি আদায় না হলে আবার তারা অনশনে যাবেন বলে হুঁশিয়ার করেন কমল।

অনশনে বিভাগটির অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, “বিভাগ একীভূতকরণে তাদের দাবি যৌক্তিক; কিন্তু হঠাৎ করেই তো আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায় না। এটা প্রক্রিয়াধীন একটা বিষয়। “আগামীকাল (বুধবার) এ বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে উঠবে। আশা করছি সেখানেই বিষয়টি সুরাহা হবে।”

গত ১১ নভেম্বর থেকে বিভাগ দুইটিকে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিল এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার ২০ নভেম্বর ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই বিভাগকে একীভূত না করার দাবিতে পাল্টা আন্দোলন করে আসছে।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে একীভূত না করার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হরপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন, “আমরা ইইই নামে স্বতন্ত্র একটি বিভাগের ভর্তি হয়েছি। এখন এপিইই একীভূত করলে আমাদের সেই স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হবে। আবার ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধায় শীর্ষে থাকে তারাই ইইই বিভাগে ভর্তি হয়; এখন যদি এপিইই ও ইইই এক হয় তবে ভর্তি পরীক্ষার মেধাক্রমের অবমূল্যায়ন হবে।”

এছাড়া ইইই বিভাগের সঙ্গে এপিইই-এর সিলেবাসের মিল নেই দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের ব্যাচেলর কোর্সের ১৬০ ক্রেডিট এর মধ্যে ইলেকট্রিক্যালের ৯২ ক্রেডিটই তাদের পড়ানো হয় না। ৫০ শতাংশের মতো মিল থাকায় দুই বিভাগ একীভূতকরণ যৌক্তিক নয়।”

সংবাদ সম্মেলনে ইইই বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।