সোমবার দুপুর থেকে তারা অনশন শুরু করেছেন।
সন্ধ্যায় প্রক্টর ঘটনাস্থলে যান, রাত ৯টার দিকে যান উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, এরপর রাত ১০টার দিকে যান এপিইই বিভাগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম নাহিদ।
তারা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন।
এদিকে, এ দুই বিভাগ একীভূত হবে কিনা সে বিষয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরাই তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।
তাদের একজন এপিইই বিভাগের তামান্না কামাল বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব।”
এপিইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম আহমেদ বলেন, “আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য এখানে অবস্থান করছি। যে পর্যন্ত এর ফলাফল বা কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান করব।”
ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, “এপিইই বিভাগ অন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। কখনো দুটি বিভাগ এক হতে পারে না। তারা এখান থেকে যায়নি বলেই আমরা এখানে অবস্থান করছি।”
তিনি বলেন, “৫ তারিখে একাডেমিক সিদ্ধান্ত যদি আমাদের বিপরীতে যায়, তবে আমরাও আমরণ অনশনে যাব। এখন আপাতত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “তাদের দাবি লজিক্যাল; কিন্তু তাদেরকে তো ৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটা তো একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত, যে কেউ দিতে পারে না। তবে তাদের নিরাপত্তায় প্রক্টরিয়াল বডিসহ পুলিশ প্রশাসন রয়েছে।”
এর আগে গত ১১ নভেম্বর থেকে বিভাগ দুটিকে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, “আগামী ৫ ডিসেম্বর একাডেমিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”