রংপুর শহরে দুই বাসের সংঘর্ষে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গতিকে দায়ী করা হয়েছে।
Published : 10 Sep 2018, 01:57 PM
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল মান্নাফ কবির সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
রশিদুল বলেন, “বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গাড়ির ফিটনেস না থাকায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।”
গত ২ সেপ্টেম্বর রংপুর শহরে বিআরটিসির বাসের সঙ্গে রুবি পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ আটজন নিহত হন।
ওই দিনই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। রোববার ছিল প্রতিবেদন দেওয়ার শেষ দিন।
কমিটি প্রধান রশিদুল বলেন, “রুবি পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালান। একটি ইজিবাইককে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে বিআরটিসির বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“এছাড়া ফিটনেসবিহীন বিআরটিসির বাসটি সড়কে চলাচলের উপযোগী ছিল না। বাসটির বডি ছিল খুবই দুর্বল। ফলে সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।”
প্রতিবেদনে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন ভারী যান চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি অটোরিকশা, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ট্যাম্পো চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনার পর দ্রুতবেগে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে কোতোয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসেন দুই বাসের চালক, সহকারী, রুবি পরিবহনের মালিক ফারুক মণ্ডল ও বিআরটিসির বগুড়া ডিপোর তত্ত্বাবধায়ককে আসামি করে মামলা করেন।
বিআরটিসির বাসটি ওই দিন বগুড়া থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।
এদিকে দুর্ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই সাইফুর রহমান বলেন, আসামিরা গা ঢাকা দেওয়ায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত ১৭ জন এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে হাসপাতালের পরিচালক অজয় কুমার রায় জানিয়েছেন।