মেঘনায় ভেসে উঠল মেহরাবের লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়ার একদিন পর ভেসে উঠেছে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাকুল মেহরাবের লাশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 03:41 PM
Updated : 15 July 2018, 03:43 PM

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী বাইন হীরা জানান, নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর রোববার সন্ধ্যায় সোনারামপুর ঘটনাস্থলের পাশে মেঘনা নদীতে ইসরাকুল মেহরাবের লাশ ভেসে ওঠে।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে আশুগঞ্জের জিটিসিএল ও ভৈরব কাঠপট্টির মাঝামাঝি এলাকায় সানজিদা বিনতে তানভিরের লাশ পায় ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার এই দুই শিক্ষার্থী মেঘনা নদীতে নেমে নিখোঁজ হন। এরা দুজনই রাজধানীর নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ইউএনও মৌসুমী রাতে জানান, ইসরাকুল মেহরাবের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়।

“পরে ভৈরব ও ময়মনসিংহ ডুবুরি দল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।”

নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে দুই শিক্ষার্থীর লাশ থানা পুলিশের মাধ্যমে হস্থান্তর করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

এছাড়া আর কোনো সন্দেহ না থাকায় উদ্ধার অভিযান সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সানজিদা বিনতে তানভির

নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সাব লেফটেনেন্ট মো. আক্কাস আলী জানান, “রোববার সকাল থেকেই মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। দুজনকেই পাওয়া যাওয়ায় আমাদের উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।” 

মৃত তানজিবা বিনতে তানভীর ওরফে প্রাপ্তি (২০) ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের তানভীর আহমেদের মেয়ে। আর ইসরাকের বাড়ি ঢাকার মগবাজারে।

ঢাকা থেকে প্রাপ্তি ও মেহরাবসহ নটরডেম কলেজের সাত বন্ধু আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় বেড়াতে আসেন শনিবার বিকালে। এদের মধ্যে দুইজন মেয়ে ও পাঁচজন ছেলে ছিল।

সোনারামপুরের সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ গ্রিড লাইনের টাওয়ারের উত্তর পাশে মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় প্রাপ্তি ও মেহরাব গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন।

তাদের তলিয়ে যেতে দেখে বাকিরাও তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় এলাকাবাসী পাঁচজনকে উদ্ধার করতে পারলেও প্রাপ্তি ও মেহরাবকে উদ্ধার করতে পারেননি।