লক্ষ্মীপুরে মেঘনা তীরের অনেকে এখন অন্য কাজ বাদ দিয়ে মৌসুমি পেশা হিসেবে চিংড়ির রেণু ধরছে; যদিও নদী থেকে রেণু আহরণ নিষিদ্ধ।
Published : 24 May 2018, 01:34 PM
জেলার রামগতি থেকে রায়পুর পর্যন্ত নদী ঘুরে দেখা গেছে, দলে দলে লোক কোমরপানিতে নেমে মিহি খুচিজাল নিয়ে রেণু ধরছে।
সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর ঘাট, বুড়ির ঘাট, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, সাহেবের হাট, লুধুয়া ঘাট, রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ায় এলাকায় রেণু ধরা ও কেনাবেচা হয়।
রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বাজার এলাকায় রেণু ধরার সময় কয়েকজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ক্ষেতে-খামারে দিনমজুরি করেন। প্রতিবছর এই সময় চিংড়ির রেণু ধরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা নিষিদ্ধ হওয়ায় পুলিশের ভয়ে তারা তাদের নাম-পরিচয় বলতে চাননি।
তবে ওই বাজারের একজন রেণু ক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার নাম আবুল হোসেন। বাজারে তার মুদির দোকান রয়েছে।
“এক টাকা দরে পোনা কিনে খুলনার আলাইপুর ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ঘেরমালিকদের কাছে বিক্রি করি। মুদির দোকানের পাশাপাশি এই মৌসুমি কারবারটা করি।”
নদী থেকে রেণু ধরা নিষিদ্ধ তা জানেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “সবাই তো করছে।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যাহ্ রেণু ধরা নিষিদ্ধ করার কারণ সম্পর্কে বলেন, রেণু অতিক্ষুদ্র হওয়ায় তা ধরতে মিহি জাল ব্যবহার করা হয়। এই জালে আটকা পড়ে মারা যায় অন্য মাছ ও জলজ প্রাণীর অসংখ্য রেণু।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিভাবে রেণু ধরা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, রেণু শিকারিদের ঠেকানোর জন্য ঝটিকা অভিযানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সম্প্রতি রামগতি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার রেণু জব্দ করে নদী ও পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে।