সোমবার সকালে উপজেলার রসিকনগর শিরোটোলা গ্রাম থেকে শ্যামলী খাতুনের লাশ তারা উদ্ধার করেন বলে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান।
শ্যামলী ওই গ্রামের দুবাই প্রবসী কবির হোসেনের মেয়ে এবং পারঘোড়াপাখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ সময় শ্যামলীর মা আলয়া বেগম ও বোন চম্পা খাতুনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা বলে পরিদর্শক ইকবাল জানান।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাতে দুই মেয়েকে নিয়ে আলেয়া ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর তিনটার দিকে প্রতিবেশীরা সেহেরী খাওয়ার জন্য তাদের ডাক দিতে গেলে ঘরের দরজায় বাইরে থেকে শিকল দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা ঘরে ঢুকে আলিয়ারা ও চাম্পাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
“কিন্তু এ সময় ওই ঘরে শ্যামলীতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা আশপাশের ঘরে খোঁজ করেন। পরে পাশের একটি ঘরের বিছানায় গলায় ওড়না প্যঁচানো অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।”
তিনি বলেন, শ্যামলীর গলায় থাকা সোনার চেইন ও পায়ের নূপুর পাওয়া যাচ্ছেনা বলে পরিবারের লোকজন তাদের জানিয়েছে।
“রাতে চোরেরা চুরি করতে এসে শ্যামলীকে শ্বাসরোধ করে করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
তবে এ বিষয়ে শ্যামলীর মা ও বোন পুলিশকে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বলে জানান ইকবাল।