র্যাব ৯-এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। তিনি একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, বাবুল সম্পর্কে র্যাবের হাতে যেসব তথ্য রয়েছে তার সঙ্গে গ্রেপ্তারের পর বাবুলের দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটিকে (১৫) গত ২১ জানুয়ারি তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের পর কৌশলে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। ১৬ মার্চ বিউটি নিখোঁজ হয়। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, বিউটি হত্যাকাণ্ডে বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চান ও ঈসমাইল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।