হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বলছে বাবুলকে গ্রেপ্তার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে তারা।
গত ১৭ মার্চ সকালে উপজেলার পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওরে বিউটি আক্তারের (১৫) লাশ পাওয়া যায়।
উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটিকে গত ২১ জানুয়ারি তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। অপহরণের পর বিউটিকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর কৌশলে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। মামলাটি ৪ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় পাঠায় আদালত।
পরে সায়েদ আলী ১৬ মার্চ বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই সেখান থেকে নিখোঁজ হয় বিউটি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, বিউটি হত্যাকাণ্ডে বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চাঁন ও ঈসমাইল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাবুলকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা যাবে বলে জানান তিনি।
বাবুল গ্রেপ্তার না হওয়ায় ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জজ মিয়া বলেন, “বাবুল গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরাও হতাশ। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা যোগাযোগ করেছি; তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
বিউটির বাবা সায়েদ আলী বলেন, “আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও বাবুল গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা হতাশ।”