উত্তরা গণভবনে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ দর্শনার্থীরা

নাটোরের উত্তরা গণভবন বিজ্ঞপ্তি ছাড়া সাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক দর্শনার্থী ক্ষোভ নিয়ে ফিরে গেছেন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2018, 01:37 PM
Updated : 9 March 2018, 01:37 PM

শুক্রবার থেকে গণভবনের সংগ্রহশালা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ সংগ্রহশালা উদ্বোধন করতে আসায় বিনাবিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন সেখানে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

সরেজমিনে গিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গণভনের প্রধান ফটকের সামনে শত শত দর্শনার্থীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

দুপুর ১টার সময় প্রধান ফটকে দেখা যায় মেহেরপুরের গাংনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থী গণভবনে ঢোকার অপেক্ষা করছেন।

একই সময় দিনাজপুরের পার্বতীপুর, পাবনার ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া থেকে আরও অনেক শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণির মানুষ গণভবন দেখতে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।

তাদেরকে গণভবনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। গণভবন দর্শনের টিকিট কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখেন।

মেহেরপুরের গাংনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, তারা দুই ঘণ্টা ধরে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন ভেতরে সচিব আছেন বলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তাদের সঙ্গে থাকা এক শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এভাবে দর্শনীয় স্থান বন্ধ রাখা অন্যায়। আগে জানা থাকলে তারা আজ এখানে আসতেন না। এ ঘটনায় তাদের শিক্ষার্থীরা কষ্ট পেয়েছে।

গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (এনডিসি) অনিন্দ্য মন্ডল বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, গণভবনের ভেতরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকায় গণভবন সংশ্লিষ্ট সবাই প্রস্তুতিমূলক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ কারণে দর্শনার্থীরা ঢোকার সুযোগ পাননি।

সংগ্রহশালা উদ্বোধন

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণভবনে রাজপরিবারের সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন। এখানে রাজা দয়ারাম রায়ের পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ, পাগড়ি, পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে।

আগের ট্রেজারীভবনকে সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে সচিব উত্তরা গণভবনের গ্র্যান্ডমাদার হাউস লেক, রাণীমহল, হরিণচূড়া ও আম্রকানন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন। নবনির্মিত বাগানে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লাগানো হৈমন্তী গাছ পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।

এ সময় রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিজয় বিপ্লব তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।