সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ১৩ ও ১৮ নভেম্বর দুটি হত্যাকাণ্ডসহ ডাকাতির ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে আব্দুল হক, সুলেমান মিয়ার ছেলে আবু তালেব সুমন, বাদল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্চ এলাকার লক্কু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন ও শাহজাহান মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ নভেম্বর মাছবোঝাই ট্রাক লুটসহ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযানে নামে।
“গোপন খবরের ভিত্তিতে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রাম থেকে তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজনকে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ১৩ নভেম্বর রাতে লুট হওয়া ৭২টি দরজা উদ্ধার করে পুলিশ। আর ১৮ নভেম্বর সরাইল থেকে লুট হওয়া মাছ বিক্রির এক লাখ চার হাজার ৬৯৫ টাকাও উদ্ধার করা হয়।”
গত ১৩ নভেম্বর রাতে আশুগঞ্জ থানার বাহাদুরপুর তালশহর রাস্তা থেকে ডাকাতরা একটি পিকআপ ভ্যানে বহন করার সময় ৭০টি দরজা লুট করে। এ সময় গাড়িতে থাকা দেওয়ান এন্টার প্রাইজের ব্যবস্থাপক কামাল আহাম্মেদকে হত্যা করে ডাকাতরা।
এদিকে ১৮ নভেম্বর সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ডাকাতরা একটি মাছবোঝাই ট্রাক লুট করে। এ সময় মাছের মালিক রফিক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তারা।
গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।