যশোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার খাদিজাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি আইনজীবী নিয়োগের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
“আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে।”
গত ৮ অক্টোবর গভীর রাতে পুলিশ যশোরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদের পেছনে চারতলা একটি ভবন ঘিরে ফেলে। ওই ভবনের দোতালার একটি ফ্ল্যাটে বছরখানেক ধরে ভাড়া থাকছিলেন তিন সন্তানসহ খাদিজা ও তার স্বামী মশিউর।
পরদিন (সোমবার) বিকালে শিশুসন্তানদের নিয়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ২৪০টি সাইকেলের বিয়ারিং উদ্ধার করেছে।
ওইদিনই রাতে খাদিজা আক্তার, তার স্বামী হাফজুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি করেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ।
পরদিন পুলিশ খাদিজাকে যশোরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সপ্তাহের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করে। আদালত ১৯ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে।
খাদিজার বিরুদ্ধে মামলায় জঙ্গি তৎপরতা, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি রাখা, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও অপরাধে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মশিউরকে ‘নব্য জেএমবি’র দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান উল্লেখ করে পলাতক দেখানো হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক আবুল বাসার।
আটকের দিন খাদিজার দুই শিশুকে নানা-নানির হেফাজতে এবং দুই বছরের রাজু দুগ্ধপোষ্য হওয়ায় তাকে খাদিজার কাছেই তাকে রাখা হয়।
আদালতে হাজিরার সময় শিশু রাজু খাদিজার সঙ্গে ছিল।
গত বছর জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার ঘটনার পর তদন্তের মধ্যে মারজানের নাম আসে।
পাবনার হেমায়েতপুরের আফুরিয়া গ্রামের হোসিয়ারি শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের ছেলে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করেননি।
চলতি বছর ৬ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।