যশোরে নেওয়া হয়েছে ‘জঙ্গি’ মারজানের মা-বাবাকে

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘জঙ্গি’ নূরুল ইসলাম মারজানের বোনের যশোরের বাসা ঘিরে রাখার মধ্যে তার মা-বাবাকে ওই বাসায় নেওয়া হয়েছে।

পাবনা প্রতিনিধিযশোর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 08:44 AM
Updated : 9 Oct 2017, 09:12 AM

যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, সোমবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে মারজানের বাবা মো. নিজাম উদ্দিন ও মা সালমা খাতুনকে যশোর শহরে তাদের মেয়ের বাসায় নেওয়া হয়।

নুরুল ইসলাম মারজানের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ের ছবি

শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে মসজিদের পেছনে চারতালা একটি ভবন জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রোববার গভীর রাত থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ‘অন্যতম হোতা’ নব্য জেএমবি নেতা মারজানের বোন খাদিজা ও তার স্বামী মশিউর রহমান ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

“খাদিজাকে বারবার বের হতে অনুরোধ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে তার অনুরোধে তার মা-বাবাকে আনা হয়।”

এর আগে সকাল ৯টার দিকে পুলিশের একটি দল পাবনার বাড়ি থেকে তাদের নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা হয় বলে জানান পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।

পুলিশের ঘিরে রাখা ওই বাড়ির মালিক যশোর জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, দোতালার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে খাদিজা তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

“তার মা-বাবা এসে পৌঁছালে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন আত্মসমর্পণ করবেন কিনা। এ বাড়িতে এখন তার তিন শিশুছেলেমেয়ে থাকলেও স্বামী মশিউর রহমান নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।”

শিক্ষক হায়দার সপরিবার স্কুলের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। নিজের বাড়ির সব ফ্ল্যাট তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

গত বছর জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার ঘটনার পর তদন্তের মধ্যে মারজানের নাম আসে।

পাবনার হেমায়েতপুরের আফুরিয়া গ্রামের হোসিয়ারি শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের ছেলে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করেননি।

চলতি বছর ৬ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তার আগে, গতবছর ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের এক জঙ্গি আস্তানা থেকে তিন জঙ্গির স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়; তাদের মধ্যে মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তিও ছিলেন।