যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) আবুল বাসার মিয়া জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খাদিজাকে যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
পরে বিচারক মো.আকরাম হোসেন আগামী ১৯ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন রেখে খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে খাদিজা আক্তার, তার স্বামী হাফজুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি করেন পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ।
রোববার গভীর রাতে পুলিশ যশোরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদের পেছনে চারতলা একটি ভবন ঘিরে ফেলে। ওই ভবনের দোতালার একটি ফ্ল্যাটে বছরখানেক ধরে ভাড়া থাকছিলেন তিন সন্তানসহ খাদিজা ও তার স্বামী মশিউর।
সোমবার বিকালে শিশুসন্তানদের নিয়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ২৪০টি সাইকেলের বিয়ারিং।
মামলায় জঙ্গি তৎপরতা, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি রাখা, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও অপরাধে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মশিউরকে ‘নব্য জেএমবি’র দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান উল্লেখ করে পলাতক দেখানো হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক আবুল বাসার।
খাদিজার দুই মেয়েকে তাদের নানার জিম্মায় ও ছেলেটি দুগ্ধপোষ্য হওয়ায় মায়ের কাছে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত বছর জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার ঘটনার পর তদন্তের মধ্যে মারজানের নাম আসে।
পাবনার হেমায়েতপুরের আফুরিয়া গ্রামের হোসিয়ারি শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের ছেলে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করেননি।
চলতি বছর ৬ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।