বগুড়ার একটি হাসপাতাল থেকে তিনদিন বয়সী এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
Published : 02 Apr 2017, 12:22 PM
সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, ।
বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ী এলাকার রুবেল উদ্দিনের প্রসূতি স্ত্রী হোসেনে আরা (২০) গত মঙ্গলবার হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৩৫ নাম্বার বেডে ভর্তি হন। বুধবার তার ছেলে হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হোসেনে আরা জানান, শনিবার সকালে তার বেডের পাশে এক অপরিচিত নারীকে তিনি ঘোরাফেরা করতে দেখেন। এ সময় তার মা রেহেনা বেগমও তার সঙ্গে ছিলেন।
পরে তার মা তার ছেলেকে নিয়ে ওয়ার্ডের বাইরে যাওয়ার সময় ওই নারীও সঙ্গে বের হন বলে হোসনে আরা জানান।
“সকালে নাতিকে কোলে করে ওয়ার্ডর বাইরের সিঁড়িতে রোদ পোহাতে গেলে ওই নারী আমার পাশে গিয়ে দাঁড়ান।”
এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে ‘বিশ্বস্ততা’ গড়ে ওঠায় নাতিকে তার কোলে রেখে রেহানা ওয়ার্ডে কাপড় আনতে যাই; কিন্তু বারান্দায় ফিরে গিয়ে তার নাতি ও ওই নারীকে আর খুঁজে পাইনি।”
শিশুটির বাবা রুবেল উদ্দীন বলেন, “শনিবার আমাদের প্রথম সন্তানের নাম রাখার কথা ছিল; কিন্তু আমি তাকে হারালাম।”
এ ঘটনার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ তার কাছ থেকে অভিযোগ লেখে নিয়ে চলে যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাইনী ওয়ার্ডের ইনচার্জ (নার্স) সানজিদা আক্তার বলেন, “আমরা রোগীদের বলি- অপরিচিত কারো হাতে সন্তান দেবেন না এবং ওয়ার্ড ছেড়ে কেউ বাচ্চা নিয়ে বাইরে যাবেন না। তারপরও বাচ্চাটিকে বাইরে নিয়ে অপরিচিত নারীর হাতে দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধান চন্দ্র মজুমদার জানান, শিশু চুরি ঘটনায় পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। শিশুটির বাবা রুবেল উদ্দীন থানায় শিশু চুরির ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন।
রোগীদের সচেতন করার জন্য অপরিচিত ব্যক্তির হাতে শিশু তুলে না দিতে ওয়ার্ডে ও দেয়ালে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিশুটি উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে বলে পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) আসলাম আলী জানান।