বৌদ্ধ সম্প্রদায় এখনও পুরোপরি শঙ্কামুক্ত নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন রামুর সীমা বিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথের।
Published : 01 Feb 2017, 09:17 PM
বুধবার রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট কক্সবাজারের রামুর কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিদর্শনে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
কক্সবাজার সফরের দ্বিতীয় দিন বিকাল ৪টার দিকে বার্নিকাটের নেতৃত্বে দূতাবাসের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সীমা বিহার পরিদর্শনে যান। এ সময় সত্যপ্রিয় মহাথেরসহ বিহারের ভিক্ষু ও বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সত্যপ্রিয় মহাথের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি, আমরা এখনও পুরোপরি শঙ্কামুক্ত নই। আমাদের মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বরের আগের মতো আস্থা ফিরে আসেনি। তবে সরকার সকল সম্প্রদায় ও মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন ফিরিয়ে আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”
পরে বার্নিকাটসহ প্রতিনিধি দলটি ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের হামলা এবং তাণ্ডবের পর নতুন করে তৈরি করা বুদ্ধমূর্তি ও দুর্লভ ধর্মীয় পুস্তকগুলোও ঘুরে ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানমূলক বিশ্ব গড়তে সকলের মধ্যে সম্প্রীতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন মার্শা বার্নিকাট।
এর আগে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল কক্সবাজার শহরের ইসলামী মহিলা কামিল মাদ্রাসা, বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বালিকা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
সোমবার বিকালে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরদিন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে টেকনাফের লেদা ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জাগো ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তাদের কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানিয়েছেন।