রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হল থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 20 Oct 2016, 10:07 AM
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমীর জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, তাকে খুন করা হয়েছে।”
মোতালেব হোসেন লিপু নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড থানার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।
লিপু হলের দোতলায় ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে হলের নিচতলায় ডাইনিংয়ের পাশে নর্দমায় তার লাশ পাওয়া যায় বলে মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান।
উপ-কমিশনার আমীর বলেন, “ওর মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যু্র কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যআ পাওয়া যাবে।”
হল ডাইনিংয়ের কর্মচারী রিনা জানান, ড্রেইনে পড়ে থাকা লাশের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না।
লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিপুল কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হলের কর্মচারীরা সকালে নর্দমায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাকে খবর দেন। পরে তিনি পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশ নিয়ে যায়।
লিপুর রুমমেট রাজিবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লিপু কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে জড়িত ছিলেন না।
“রাত ১২টার দিকে ও ঘুমানোর জন্য রুমে আসে। আমিও তখন শুয়ে পড়েছি। গভীর রাতে একবার দরজা খোলার শব্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু খেয়াল করিনি। ”
রাজিব জানান, লিপু প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে বের হতেন। কিন্তু যখন তার লাশ পাওয়া গেল, তখন গায়ে কোনো কাপড় ছিল না।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সত্য্ সরকার জানান, লিপু বাড়ি থেকে ঘুরে এসে বুধবার হলে ফিরেছিলেন। রাত ৮টার দিকে তাদের দেখা হলে সামনের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে তাদের মধ্যো কথাও হয়েছিল। তবে সে সময় অস্বাভাবিক কিছু তার চোখে পড়েনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। আমরাও দেখছি। ময়নাতদন্তের পর লিপুর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”