রাজশাহী হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে সাত জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
Published : 19 Sep 2016, 09:07 PM
সোমবার এ বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জে তিনজন, হবিগঞ্জে দুজন ও রাজশাহীতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছে।
সোমবার বেলা ৪টার দিকে উপজেলার কারগাঁও ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নবীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বাতেন জানান।
এরা হলেন উপজেলার সাকুয়া গ্রামের ইছহারুল হকের ছেলে জাবেদ মিয়া ও দুর্গাপুর গ্রামের হরিচরণ দাশের ছেলে কৃষ্ণ গোপাল দাশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, জাবেদ মিয়া ও কৃষ্ণ গোপাল দাশ হাওরে ধান ক্ষেতে কাজ করতে যায়। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে তারা আহত হন।
“পরে স্থানীয়রা তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন এলে তাদের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইজন।
সোমবার দুপুরে নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নে সাজনপুর হাওরে বজ্রপাতে দুইজন ও সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাঠাখালি গ্রামে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এরা হলেন জারুইতলা গ্রামের আলী হোসেনের নুরুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের মৃত সুনাম উদ্দিনের ছেলে রুসমত আলী (৩৫) এবং সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাঠাখালি গ্রামের মৃত ইছব আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬০)।
নিকলী থানারা ওসি মুঈদ চৌধুরী জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাজনপুর হাওরে বৃষ্টির মধ্যে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে চার জেলে গুরুতর আহত হন।
“আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে বাজিতপুর উপজেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নুরুল ইসলাম ও রুসমত আলী মৃত ঘোষণা করেন।”
আহত মোকারম হোসেন (২২) ও আসাদ মিয়া (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আর কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে মারা যান বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন।
রাজশাহী
রাজশাহীর তানোর ও পুঠিয়ায় বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন জন।
এরা হলেন, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কুজিশহর গ্রামের সুজন (৩০) ও পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের অমৃতপাড়া গ্রামে শাহ আবদুল আজিজ (৪৮)।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন।
কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান, কুজিশহর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও তার ছেলে সুজন ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাত ঘটনাস্থলের সুজন মারা যান।
আহত আশরাফুলকে তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন মুকুল জানান, বিকালে অমৃতপাড়া গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান শাহ আবদুল আজিজ। এ সময় একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন (২২) ও পাশের বিদিরপুর গ্রামের কালাম মণ্ডল (৪৫) আহত হন।
তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।