মুন্সীগঞ্জের গজরিয়ায় স্থানীয় দুদলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 22 Jul 2016, 09:52 PM
সংঘর্ষের সাত দিন পর বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান ইউনুফ মৃধা (৪৫)।
এ নিয়ে এ ঘটনায় দুই সহোদরসহ তিনজনের মৃত্যু হলো। অপর দুজন হলেন গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য চরবলাকি গ্রামের গোলাপ হোসেন বেপারী (৪৮) ও তার ছোট ভাই আইয়ুব আলী বেপারী (৩০)।
এদিকে ঘটনার আটদিন পরও ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ হওয়া আওলাদ হোসেন (২৮) ও জুয়েল (২৪) নামের দুই জনের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ জুয়েল নিহত গোলাপ বেপারীর আরেক ছোট ভাই।
গজারিয়া থানার ওসি হেদায়েদ-উল-ইসলাম ভূঞা জানান, গ্রেপ্তার আট জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) এনে গজারিয়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে গ্রামটিতে উদ্বেগ-উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে চরবলাকি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচনের জেরে গত ১৪ জুলাই এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি হেদায়েদ-উল-ইসলাম জানান, ওইদিন বিকালে হোসেন্দি ইউনিয়নের চরবলাকি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, তার ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন ও শাহপরানের লোকজন ও আব্দুল মতিন মন্টুর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
তিনি জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন বেপারী ও তার ছোট ভাই আইয়ুব আলী বেপারী নিহত হন। ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ আরও আহত হন অন্তত ২৫ নারী-পুরুষ।
“এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই নিহত দুই সহোদরের বাবা মজু মিয়া বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।”
মামলায় গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেনসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসাধীন ইউনুস মৃধার মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নুতন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ওসি হেদায়েদ-উল-ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুরিশ নিখোঁজদের সন্ধানের চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান।