Published : 10 May 2016, 12:45 PM
ইউএনও কার্যালয়ের সহকারী আব্দুর রহমান এবং দেলদুয়ার থানার এসআই বাহারুল ইসলাম সোমবার রাতে মামলা দুটি দায়ের করেন বলে ওই থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান।
প্রশাসনের করা মামলায় আটিয়া ইউনিয়নে পরাজিত (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন আজাদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করা হয়েছে।
আর পুলিশের মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন-চারশ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে কয়েকশ মানুষ।
ইউএনও শাহাদত হোসেন কবির বলেন, আটিয়া ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং দেওলী ইউনিয়নে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ান তাহমিনা হক ভোট পুনঃ গণনার দাবি নিয়ে ওই দিন সকালে তার বাসায় আসেন।
একই সময়ে দুই পরাজিত প্রার্থীর হাজারখানেক সমর্থক মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে হামলা চালায়।
পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে বলে ইউএনও জানান।
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নে ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।