হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যার ঘটনায় রুবেলের পর তার ভাই জুয়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 21 Feb 2016, 08:37 PM
রোববার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কৌশিক আহাম্মদ খোন্দকারের আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রুবেল মিয়া।
জবানবন্দি শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রুবেলর আপন ভাই জুয়েল ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে দুইজন আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করেছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।”
এদিকে আটক সালেহ আহমেদকেসহ অপর ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সোমবার ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলেও জানান শহিদুল ইসলাম।
গত শুক্রবার বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া চার শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর বুধবার সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ঈসা বিল এলাকায় তাদের বালিচাপা লাশ পাওয়া যায়।
নিহত শিশুরা হলো স্থানীয় আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটেকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটেকি মাদ্রাসার ছাত্র।
তাদের সবাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে ময়নাতদন্তের পর জানিয়েছিলেন হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ দাশ।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের পরিবারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। মাসখানেক আগে সীমানা বিরোধ ও গাছ কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বিষয়টি সালিশেও গড়ায়। এর জেরে তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।