জরুরি অবস্থার সময় যাচাই না করে শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির’ খবর প্রকাশ করায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা হয়েছে গোপালগঞ্জে।
Published : 11 Feb 2016, 03:37 PM
জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুন্না বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের বিচারিক হাকিম নুসরাত জাবিন নিম্মীর আদালতে এ মামলা করেন।
এর আগে একই অভিযোগে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে খুলনা ও লক্ষ্মীপুরে মানহানির মামলা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী শওকত আলী শিকদার বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
ডেইলি স্টার যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ করায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও সংগঠনের মানহানি হয়েছে অভিযোগ করে মামলায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে বলে এ আইনজীবী জানান।
মামলার বাদী শরিফুল বলেন, “২০০৮ সালের তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে ডিজিএফআই সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই না করেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডেইলি স্টার পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন।”
এ বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতিবিদদের প্রতি জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও এ সংবাদের কারণে শেখ হাসিনাকে কারাবরণ করতে হয় বলেও দাবি করেন এ ছাত্রলীগ নেতা।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সে সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল’।
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও ডেইলি স্টার ও পত্রিকাটির সম্পাদকের ওই ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মাহফুজ আনামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সংসদ অধিবেশনে আলোচনায় ইংরেজি এই দৈনিকটি বন্ধের পাশাপাশি মাহফুজ আনামের বিচার দাবি করেছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য।