দিনাজপুরে মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্য শরিফুল ইসলাম ইতালীয় পাদ্রি হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 18 Dec 2015, 12:49 PM
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই বজলুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে দিনাজপুরের অতিরিক্ত বিচারিক হাকিমের আহসানুল হকের কাছে শরিফুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
“গত ১৮ নভেম্বর সকালে দিনাজপুর শহরের ইতালীয় পিয়েরোকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে শরিফুল সরাসরি জড়িত ছিল বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।”
এসাই বজলুর বলেন, “শরিফুল বলেছে, সে জেএমবির নেতাদের কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম। তার মিশন দিনাজপুর।”
এর আগে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হুমায়ুন কবির দিনাজপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিদেশি নাগরিক হত্যার চেষ্টা, কান্তজিউ মন্দিরে রাস মেলা ও ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা ও পেট্রোল পাম্পে লুটসহ সব হামলার ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা।
“এগুলো জেএমবির কাজ। এর পক্ষে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”
১০ ডিসেম্বর কাহারোলে ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা ছুড়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করার পর পুলিশে দেয়।
এই হামলার ঘটনায় পরদিন রাতে কাহারোল থানায় ছয়জনকে আসামি করে পুরোহিত গোবর্ধন হরিদাসের মামলায় শরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ওই মামলার আরেক আসামি মোসাব্বির আলম খন্দকারকে ১১ ডিসেম্বর এসএমজি ও গুলিসহ বীরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়।
আসামিদের বাকি চার জনকে মামলায় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সকালে শহরের মির্জাপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে সাইকেল আরোহী ডা. পিয়েরো পারোলারিকে গুলি ছুড়ে আহত করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।