Published : 01 May 2025, 10:15 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-রুয়ার কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন দেওয়ার আশ্বাসে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও থেকে সরেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক মো. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, রুয়ার আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি দল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা চলে যান।
এর আগে ১০ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার খবরে বৃহস্পতিবার বিকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ে ছিলেন সংগঠনটির বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরাও।
এ সময় তারা ‘সিন্ডিকেট না রুয়া’, ‘রুয়া রুয়া’; ‘এডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’; ‘সিলেকশন না ইলেকশন’, ‘ইলেকশন ইলেকশন’; ‘রাকসু নিয়ে তালবাহানা’, ‘চলবে না রে চলবে না’; ‘রুয়া কি তর বাপের রে, প্রশাসন জবাব দে’; রুয়া কেন স্থগিত, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দেন।
এর আগে রুয়ার পদপ্রার্থীরা কমিটির আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার বলেন, বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেইসঙ্গে বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর বিকালে নির্বাচন বহাল রাখার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘেরাওস্থলে থাকা রুয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “আমাদের আজকের এ কর্মসূচি হল ১০ তারিখ রুয়া নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে। এক কুচক্রী মহল যারা রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বাসার সামনে হাত বোমা ফাটিয়ে রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। ১০ তারিখের নির্বাচন ১০ তারিখেই দিতে হবে।”
রুয়ার সহ সভাপতি পদপ্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের আমির কেরামত আলী বলেন, “যারা রুয়ার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে তাদের কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দিলেন? যে ভুল তারা করেছে, আমরা তা মেনে নিতে পারি না। যেকোনো উপায়ে তারা নির্বাচন দিবেন। দরকারে সৎ সাহসধারী নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ও তাদের পিছু না হটার শপথ করিয়ে নির্বাচন দিবেন।”