রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে সরেজমিন তদন্ত করে নেত্রকোণার এলজিইডি।
Published : 30 Jul 2024, 09:14 PM
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক।
নিহত ইনচান মিয়া (৬০) পিজাহাতি গ্রামের মৃত হালু মিয়ার ছেলে ও পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর।
সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহতের কথা জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি এনামুল জানান, পিজাহাতি গ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি রাস্তা পাকাকরণের কাজ পান একই গ্রামের বাসিন্দা ও ঠিকাদার রেজাউল করিম সুমন।
রাস্তার কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়। এর মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন একই গ্রামের আতিকুর রহমান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে সরেজমিন তদন্ত করেন এলজিইডির কর্মকর্তারা। এরপর থেকে ঠিকাদার ও অভিযোগকারী পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকালে রেজাউল করিম সুমন ও আতিকুর রহমানের লোকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন। এর মধ্যে ঠিকাদার সুমনের পক্ষের গুরুতর আহত ইনছান মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্য আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়।
ওসি এনামুল আরও বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ওসি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এছাড়া হত্যায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।