গাজীপুরে তালাবদ্ধ দোকানে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ, স্বামী পলাতক

বৃহস্পতিবার রাতে দোকানে ওই নারীকে হত্যার পর লাশ ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা দেওয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।

গাজীপুরের শ্রীপুরে দোকানের তালা ভেঙে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যেখানে রাতে স্বামী-স্ত্রী থাকতেন বলে ভাষ্য পুলিশের। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক আছেন।

শুক্রবার রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ক্যাপ্টেন সিএনজি স্টেশনের পাশের একটি ফার্মেসির দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান শ্রীপুর থানার এসআই মো. নাহিদ হাসান খান।

নিহত রেহেনা আক্তার (২৭) গোপালগঞ্জের ইদ্রিস আলী ভূঁইয়ার মেয়ে। তার স্বামী কিবরিয়া (৪০) নড়াইল জেলার বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা শিহাব জানান, প্রায় বছর খানেক ধরে স্ত্রী রেহেনাকে নিয়ে কিবরিয়া মুলাইদ গ্রামের মোস্তফা কামালের বাড়িতে ভাড়া থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ওষুধসহ মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জের ব্যবসা করে আসছিলেন।

“চার মাস আগে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে রেহেনাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে দোকানেই বসবাস শুরু করেন কিবরিয়া। তিন দিন আগে রেহেনা শ্রীপুরে আসেন। স্বামী-স্ত্রী দোকানেই থাকতেন। শুক্রবার সকাল থেকে দোকানটি বন্ধ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

“সন্ধ্যার দিকে পাশের দোকানদার সোহেল মোবাইল রিচার্জ করতে গিয়ে বন্ধ দোকানে আলো জ্বলতে দেখে ভেতরে উকি দিয়ে মেঝেতে এক নারীকে শুয়ে থাকতে দেখেন। সারাদিন দোকানটি বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় তার। তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাটি দোকান মালিক মোস্তফাকে জানান।”

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের তালা ভেঙে রেহেনার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এসআই নাহিদ হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বটি দিয়ে ওই নারীকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ দোকানের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে শাটারে তালা দিয়ে কিবরিয়া পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লাশের পাশে রক্ত মাখা একটি বটি পাওয়া গেছে; এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

নিহতের স্বামী কিবরিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান এসআই নাহিদ হাসান।