রাজবাড়ীর পাংশায় স্কুল শিক্ষককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান।
গ্রেপ্তাররা হলো, কলিমহর ইউনিয়নের হাটবনগ্রামের শাকিবুল হাসান (১৮), আকাশ সরকার (১৯), রামপ্রসাদ সরকার (১৮), বিজয় কুমার সরকার (১৯), বাদল সরকার (১৯)।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি একনলা বন্দুক ও দুইটি কার্তুজ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাকিলুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তাররা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মূলত হালখাতার টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
গত রোববার রাত ৯টার দিকে কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা।
একই ইউনিয়নের বসাকুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি হোসেনডাঙ্গা বাজারে সার, কীটনাশক ও ভূষি মালের ব্যবসা করতেন তিনি। ঘটনার দিন তার দোকানে ‘হালখাতা’ করা হয়েছিল।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার তার স্ত্রী বাদি হয়ে পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর অসিত প্রামাণিক নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বসাকুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা অসিত প্রামাণিক পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
পরদিন বুধবার গ্রেপ্তার অসিতকে রাজবাড়ীর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার শাকিলুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহতের পরিবার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন গ্রেপ্তারকৃত অসিতের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও জায়গা জমি নিয়ে মিজানুরের দ্বন্দ্ব ছিলো। এটা তাদের সন্দেহের কথা। আমরা বিষয়টি সেভাবেই দেখছি। ”
তবে এই মামলায় এখনো তদন্ত চলছে। সেই সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন, অতিরক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা প্রমুখ।
আরও পড়ুন