১৫ বছর বিল দেয়নি দিনাজপুর পৌরসভা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নে টিকা নিয়ে শঙ্কা

এতে বুধবার সকাল থেকে সেবাপ্রার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2022, 12:24 PM
Updated : 30 Nov 2022, 12:24 PM

দেড় দশক ধরে বকেয়া থাকা বিলের কারণে দিনাজপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে; এতে কোভিড ও শিশুদের টিকা সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ পৌরসভার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে বুধবার সকাল থেকে সেবাপ্রার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। 

পিডিবি দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২) শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গত ১৫ বছরে কোনো বিল দেয়নি। বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর ১৩ কোটি টাকা এবং বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আরও প্রায় পাঁচ কোটি বকেয়া রয়েছে। মোট ১৮ কোটি টাকা বকেয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।” 

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের আগে কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের অবহিত করা হয়নি বলে দাবি করেছেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম খান। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, “এ অবস্থায় টিকা নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেবা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ তো আছেই।” 

এদিকে বুধবার সকালে দিনাজপুর পৌরসভায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় জন্মনিবন্ধনসহ সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুধু একটি জেনারেটর ব্যবহার করে কর্মকর্তাদের কক্ষের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। 

সেবা নিতে আসা আক্তার হোসেন বলেন, “সকাল থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন দেওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমার আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। আমার জন্মনিবন্ধন করা খুব জরুরি।” 

ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা টিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পৌরসভার ইপিআই সুপারভাইজার মোমরেস সুলতানা বলেন, “কোভিড ভ্যাকসিন ও শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য টিকা রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানের কর্মসূচি আছে। এখানে কোভিডের চার হাজার টিকা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কয়েক হাজার টিকা রয়েছে।“ 

এ বিষয়ে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য জানতে কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। দুপুর ১টা একটা ২টা পর্যন্ত মেয়রের কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। 

পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী স্বপন বলেন, “পৌরসভার কত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে সে বিষয়ে মেয়র কখনই জানান না। পরিষদের সভাগুলোতে এ বিষয়ে কখনই কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয় না।” 

“পৌর মেয়রের জন্যই এই সমস্যার সৃষ্টি হলো।”